Choose Your Language

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাশের হার ৪৫.৬২ শতাংশ, সর্বোচ্চ নম্বর ৯০.৭৫


দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকাশিত হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার পর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল প্রকাশ করে। এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। ৬০ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সরকার নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে এই শিক্ষার্থীরা মেধাতালিকার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য মেধা তালিকা এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির সুযোগ পরে প্রদান করা হবে।


স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন প্রথম আলোকে জানান, ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত আজ রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ সভায় গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিকেল সাড়ে ৪টার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ফলাফল প্রকাশ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং নির্ভুল ছিল। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন। এছাড়াও এসএমএস সেবার মাধ্যমে ফলাফল জানার সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।


এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পরিবার ও অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এই অর্জন তাদের সন্তানদের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যা আগামী দিনে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর সরাসরি অনলাইনে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd) থেকে সহজেই এই ফলাফল দেখতে পারবেন। এ ছাড়া ফলাফলসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।


উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য আরও একটি সুবিধা রয়েছে—তাদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা আবেদন ফরম পূরণের সময় যে মোবাইল নম্বর প্রদান করেছেন, সেই নম্বরে ফলাফলের বার্তা পাঠানো হবে।


এই সুবিধাগুলো নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের সহজ ও দ্রুত ফলাফল জানার সুযোগ প্রদান করেছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সময় ও কষ্টের সাশ্রয় করবে।




এবার মেডিকেলে মোট আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮০টি, যা কোটা-সহ। এই বছর একটি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন গড়ে ২৫ দশমিক ১৪ জন পরীক্ষার্থী। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এই প্রতিযোগিতার হার ছিল তুলনামূলক কম—সেই সময়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করলেও আসন ছিল একই, অর্থাৎ আসনপ্রতি আবেদনকারী ছিলেন ১৯ দশমিক ৩৪ জন। এ হিসেবে এ বছর প্রতি আসনের জন্য আরও ছয়জন বেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন।


দেশের মোট মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বর্তমানে ১১০টি। এর মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং ৬৭টি বেসরকারি। এর পাশাপাশি একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এবং পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়, যেখানে তালিকার শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা সাধারণত জনপ্রিয় এবং শীর্ষস্থানীয় কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পান।


বর্তমানে দেশে মোট ১১০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি সরকারি এবং ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। এছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এবং পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয়। মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা সাধারণত দেশের সেরা এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পান, যা তাদের উচ্চমানের শিক্ষা এবং উন্নত চিকিৎসা পেশায় সফল ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করে।


লিখিত পরীক্ষার নম্বর বিভাজন নিম্নরূপ:

  • জীববিজ্ঞান: ৩০ নম্বর
  • রসায়ন: ২৫ নম্বর
  • পদার্থবিজ্ঞান: ২০ নম্বর
  • ইংরেজি: ১৫ নম্বর
  • সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি): ১০ নম্বর

মোট পরীক্ষার সময়: ১ ঘণ্টা।

প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হয়। তবে, যদি কোনো প্রশ্নে একাধিক উত্তর প্রদান করা হয়, তবে সেটি ভুল বলে গণ্য হবে। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কেটে নেওয়া হয়।


লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে পরীক্ষার্থীকে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং সে দেশে বা বিদেশে এমবিবিএস বা সমতুল্য কোর্সে ভর্তি হতে অক্ষম হবে। কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad