ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর সরাসরি অনলাইনে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd) থেকে সহজেই এই ফলাফল দেখতে পারবেন। এ ছাড়া ফলাফলসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য আরও একটি সুবিধা রয়েছে—তাদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা আবেদন ফরম পূরণের সময় যে মোবাইল নম্বর প্রদান করেছেন, সেই নম্বরে ফলাফলের বার্তা পাঠানো হবে।
এই সুবিধাগুলো নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের সহজ ও দ্রুত ফলাফল জানার সুযোগ প্রদান করেছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সময় ও কষ্টের সাশ্রয় করবে।
এবার মেডিকেলে মোট আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮০টি, যা কোটা-সহ। এই বছর একটি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন গড়ে ২৫ দশমিক ১৪ জন পরীক্ষার্থী। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এই প্রতিযোগিতার হার ছিল তুলনামূলক কম—সেই সময়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করলেও আসন ছিল একই, অর্থাৎ আসনপ্রতি আবেদনকারী ছিলেন ১৯ দশমিক ৩৪ জন। এ হিসেবে এ বছর প্রতি আসনের জন্য আরও ছয়জন বেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন।
দেশের মোট মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বর্তমানে ১১০টি। এর মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং ৬৭টি বেসরকারি। এর পাশাপাশি একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এবং পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়, যেখানে তালিকার শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা সাধারণত জনপ্রিয় এবং শীর্ষস্থানীয় কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পান।
বর্তমানে দেশে মোট ১১০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি সরকারি এবং ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। এছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এবং পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয়। মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা সাধারণত দেশের সেরা এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পান, যা তাদের উচ্চমানের শিক্ষা এবং উন্নত চিকিৎসা পেশায় সফল ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করে।
লিখিত পরীক্ষার নম্বর বিভাজন নিম্নরূপ:
- জীববিজ্ঞান: ৩০ নম্বর
- রসায়ন: ২৫ নম্বর
- পদার্থবিজ্ঞান: ২০ নম্বর
- ইংরেজি: ১৫ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি): ১০ নম্বর
মোট পরীক্ষার সময়: ১ ঘণ্টা।
প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হয়। তবে, যদি কোনো প্রশ্নে একাধিক উত্তর প্রদান করা হয়, তবে সেটি ভুল বলে গণ্য হবে। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কেটে নেওয়া হয়।
লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে পরীক্ষার্থীকে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং সে দেশে বা বিদেশে এমবিবিএস বা সমতুল্য কোর্সে ভর্তি হতে অক্ষম হবে। কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন