ছাত্রী হলে ঢুকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক থেকে হলেন সহকারী অধ্যাপক
ইমদাদুল হক সোহাগের বিরুদ্ধে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট থাকাকালীন সময়ে দাড়ি রাখায় শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ, হলে সিটের আবেদন করার সময় মোবাইল ঘেঁটে শিবির সংশ্লিষ্টতা খোঁজার মতো ধর্মীয় বৈষম্যমূলক আচরণ, শুধু ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের সিট বরাদ্দ দেওয়াসহ গুরুতর অনিয়মের কথাও সামনে এসেছে। এমনকি তিনি এক শিক্ষার্থীকে "সাতক্ষীরা জামায়াত এলাকা" থেকে এসেছে বলে পরীক্ষা থেকে নম্বর শূন্য দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ধর্ম নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্য, যেমন “ধর্ম ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে, কিন্তু সংস্কৃতি ছাড়া নয়”—এ ধরনের উক্তিগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। ২০১৫ সালে ফজিলাতুন্নেছা হলে ধর্ষণের হুমকির ঘটনার সংবাদে উঠে আসা সোহাগ বর্তমানে সকল বিতর্ক ছাপিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। যদিও এসব অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। পদোন্নতির বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সোহেল হাসান জানান, “আমাকে হায়ার বোর্ডে রাখা হয়নি, ভাইভার সময়ও উপস্থিত ছিলাম না। কিছু নাম চালাকি করে ঢোকানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “গত এক বছর রিজেন্ট বোর্ড না হওয়ায় আগের সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে কোনো কমিটির সুপারিশ পাইনি। যেহেতু তারা নিয়মিত ক্লাস নেয়, কোনো বাধার মুখে পড়েনি, তাই আমরা পদোন্নতিতে বাধা দিইনি। লিখিত ও প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।” শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনের এ ধরণের বক্তব্য নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে নতুন বিতর্ক। এখন দেখার বিষয়, কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আদৌ কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে কিনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন