Choose Your Language

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

এক কলেজ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেলে চান্স ২০০ শিক্ষার্থীর

 

এক কলেজ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেলে চান্স ২০০ শিক্ষার্থীর


জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে সাফল্যের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ২০০ জন শিক্ষার্থী। তারা দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গৌরবময়ভাবে সুযোগ অর্জন করেছেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে কলেজ অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে এক গৌরবময় সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নিবন্ধিত ১৭৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। কলেজ অঙ্গনে উদ্ভাসিত এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুপ্রেরণার নতুন আলো ছড়িয়ে দেয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। তিনি বলেন, “আমরা সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই, কিন্তু শিক্ষক হওয়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে, যা আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া সম্ভব নয়।” অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি গর্বের সঙ্গে জানান, “কলেজের শৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থা এবং নিবেদিত শিক্ষকদের অবদানেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।” উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক গুণীজন, যেমন ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান, সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফাহিমা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসানা তাসলিম ও জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মোজাম্মেল হক।


শিক্ষার্থীদের কণ্ঠেও ছিল গর্ব আর কৃতজ্ঞতার ছাপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া মনি আক্তার জানান, “কলেজের গাইডলাইন ও শিক্ষকদের উৎসাহে আমি ঢাবিতে চান্স পেয়েছি।” ঢাকা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া ইসরাত জাহান প্রভা বলেন, “বাবা-মা ও শিক্ষকদের সহানুভূতিই ছিল আমার সফলতার মূল শক্তি।” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া মো. রিফাত হাসান আবেগভরে জানান, “আমি গর্বিত যে আমি আশেকিয়ানের একজন। এ কলেজের সহানুভূতি ও দিকনির্দেশনা ছাড়া এ অর্জন সম্ভব হতো না।” এ সাফল্য শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, পুরো জামালপুরবাসীর গর্বে পরিণত হয়েছে।

1 টি মন্তব্য:

Post Top Ad