শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থী তাদের পাঠ্যবই পেয়ে যাবে। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ার জন্য প্রথম দিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ এবং পাঠ্যবই ছাপাতে দেরি হওয়াকেই দায়ী করা হচ্ছে। গতকাল, ১৩ জানুয়ারি, পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষা সাংবাদিকদের সংগঠন ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব)’ নেতাদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ইরাবের সভাপতি আকতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুছা মল্লিক, দপ্তর সম্পাদক রুম্মান তূর্য এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল হাই তুহিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু বই বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ, বিশেষ করে আর্ট পেপার, পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ছাত্র প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য সহায়তার মাধ্যমে আর্ট পেপারের সংকট সমাধান করা হয়। যদিও এখনও কিছু আর্ট পেপারের ঘাটতি রয়ে গেছে, তবে বিদেশ থেকে জাহাজে পাঠানো হয়েছে এবং আশা করছি জানুয়ারির শেষের দিকে সেগুলি এসে পৌঁছাবে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, "আমরা বই ছাপানোর কার্যক্রম কিছুটা দেরিতে শুরু করেছি। বইয়ের সিলেবাস এবং কারিকুলাম নতুন করে তৈরি করতে হয়েছে, বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে, আর বিদেশে কোনও বই ছাপানো হয়নি, তাই কাজের গতি কিছুটা ধীর হয়েছে। তবে এবারই প্রথম দেশের মধ্যে বই ছাপানোর সক্ষমতা পরীক্ষা করা হচ্ছে, এবং এতে কিছুটা সময় বেশি লাগছে।"
তিনি আরও জানান, আগের সরকারের সময়েও মার্চের আগে পুরোপুরি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন